بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ |
ٱ لْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلْعَـٰلَمِينَ ٢
ٱلرَّحْمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ ٣ مَـٰلِكِ يَوْمِ ٱلدِّينِ ٤
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ٥ ٱهْدِنَا
ٱلصِّرَٰطَ ٱلْمُسْتَقِيمَ ٦ صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنْعَمْتَ
عَلَيْهِمْ غَيْرِ ٱلْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ
وَلَا ٱلضَّآلِّينَ ٧
|
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)। |
|
সূরা ফাতিহার সংক্ষিপ্ত তাফসীর
আল্লাহ তা‘আলার কালাম কুরআন মাজীদের প্রথম ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এক অংশ হলো এ সূরা আল-ফাতিহা। এ সূরা সমগ্র কুরআন মাজীদের সার-সংক্ষেপ। পূর্ণাঙ্গ সূরা রূপে এটিই প্রথম নাযিল হয় এবং কুরআন মাজীদের প্রথমেই এর স্থান নির্ধারণ করা হয়। এজন্য এর নাম সূরা আল-ফাতিহা (প্রারম্ভিক সূরা) রাখা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: যার হাতে আমার জীবন-মরণ, আমি তাঁর শপথ করে বলছি, সূরা আল-ফাতিহা-এর দৃষ্টান্ত তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল প্রভৃতি কোনো আসমানী কিতাবে তো নেই, এমনকি পবিত্র কুরআনেও এর দ্বিতীয় নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন: (সূরা আল-ফাতিহা সব রোগের ঔষধ বিশেষ। অপর আরেকটি হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি সূরা আল-ফাতিহা পড়ে না তার সালাত হয় না।
সূরা আল-ফাতিহা মূলত একটি প্রার্থনা বিশেষ, যা আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন। অবশিষ্ট কুরআন হলো তাঁর পক্ষ থেকে এর জবাব, যার মধ্যে মানবকুলের জন্য সহজ-সরল ও সঠিক জীবন-পথের পুর্ণাঙ্গ ও বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।